Wednesday 17 February 2016

ডিম-ডুম


রান্নাঘরে নুন চিনির হাজিরা যেমন আবশ্যক, আমার হেঁশেলে নুন চিনির সঙ্গে ডিম আর ময়দার উপস্থিতি একান্ত কাম্য। ব্যক্তিগতভাবে ডিম আমার খুব একটা পছন্দের তালিকায় না থাকলেও ভালবাসার মানুষগুলোর পাতে তাদের পছন্দের খাবার তুলে দিতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। ডিম-ময়দার জুটি বহুবারই ইচ্ছে হেঁশেলের মেনুতে ও কলমে ঠাঁই পেয়েছে । তাই ভাবলাম বিশেষ কিছু করা যাক। ভাজা ডিমের বদলে সেদ্ধ ডিমকে কাজে লাগানো যাক, নতুনত্ব আসবে আবার স্বাদকোরকের চাহিদাও চরিতার্থ হবে।
তাই আজ ইচ্ছেহেঁশেলের ভালোবাসার আঁচে স্বাদস্বপ্নের কড়াইতে আশার খুন্তি দিয়ে তৈরী হচ্ছে সেদ্ধ ডিমের এক নতুন পদ, "ডিম-ডুম"। চা, কফির সাথে দিব্যি জমে যাবে এই "ডিম-ডুম"।


টুকটাক যা লাগবেঃ

সেদ্ধ ডিম (৪টে)
পিঁয়াজ কুচি (৩টে, বড়)
ক্যাপসিকাম কুচি (১টা)
কাঁচালঙ্কা কুচি (যে যেমন ঝাল খান)
গোলমরিচ গুঁড়ো (১ টেবিল চামচ)
নারকেল কোড়া (২ টেবিল চামচ)
ময়দা (৪ কাপ)
সাদা তেল
নুন
টমেটো টমটম
চিনি ( স্বাদ মতন)
পাতিলেবুর রস (১ চামচ)


রান্না শুরুঃ 

ময়দার মধ্যে নুন, অল্প সাদা তেল মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে মেখে রেখে দিন।
সেদ্ধ ডিমগুলো টুকরো করে নিন। ননস্টিক প্যান বা ননস্টিক কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে তার মধ্যে পিঁয়াজকুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, লঙ্কা কুচি, নুন, চিনি দিয়ে ভাজা হলে তার মধ্যে নারকেল কোড়া, , পাতিলেবুর রস,  গোলমরিচ গুঁড়ো আর সেদ্ধ ডিম কুচি দিয়ে ঢিম আঁচে হালকা হাতে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
ময়দার লেচি কেটে মাঝারি মাপের রুটির আকারে বেলে নিন। এই রুটির ওপর এক চামচ টমেটো টমটম ভালো করে মাখিয়ে নিন। তারপর ২ চামচ সেদ্ধ ডিমের পুর দিয়ে চারপাশ থেকে মুড়িয়ে দিন। কড়ায় তেল ভালো করে গরম হলে, আঁচ কমিয়ে একটি একটি করে ডিম-ডুম ভেজে নিন।


গরম গরম ডিম-ডুমের প্রথম কামড়েই ডিমের কুসুমের মোলায়েম ভাব, টমেটো টমটমের চটকা, ক্যাপসিকাম, নারকেল, লঙ্কা, পিঁয়াজ, লেবুর রসের মিক্সড ফ্লেভার আর ময়দার ক্রাঞ্চ - খাদ্যরসিকদের স্বাদকোরকের চাহিদা চরিতার্থ করতে পুরোপুরি সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস। নতুন ধরণের রান্না নতুন ধরণের স্বাদ আপনার ভালবাসার মানুষদের শুধু যে রসনাতৃপ্তি ঘটাবে তাই নয়, মনও ভালো করে দেবে চটপট।

বিঃ দ্রঃ 

(i) ৪টে সেদ্ধ ডিমে মোটামুটি ৮টি ডিমডুম করা যাবে।
(ii) সেদ্ধ ডিম কাটার আগে ছুরিটা অল্প কিছুক্ষণের জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন এবং কাটার আগে ছুরির গায়ে অল্প তেল মাখিয়ে নেবেন, এতে সেদ্ধ ডিম কুচির প্রক্রিয়া সহজ এবং পরিচ্ছন্ন হবে।
(iii) যারা জোয়ানের স্বাদ পছন্দ করেন সেদ্ধ ডিমের পুর বানানোর সময় জোয়ান ফোড়ন দিতে পারেন, ভালো লাগবে।
ডিমের পুর বানানোর সময় সেদ্ধ ডিমকুচি একদম শেষে মেশাবেন, মেশানোর পর বেশী নাড়াচাড়া করবেন না, কুসুম ঘেঁটে যেতে পারে।
(iv) ডিমের পুর বানানোর সময় "ননস্টিক" প্যান বা কড়াই ব্যবহার করলেই ভালো। এতে মিশ্রণের প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং তলায় লেগে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকেনা।
(v) টমেটো টমটম মজুত না থাকলে অন্য যেকোন টমেটো সস ব্যবহার করা যেতে পারে।
(vi) সেদ্ধ ডিমের পুর রুটি, লুচি, পরোটার সাথে খেতেও বেশ ভালো লাগে।


দো-দৈ মুরগি

এক একটা দিন এমন হয়, সেদিন মন - মাথা পুরো তেতো হয়ে থাকে। কেন হয়, কি জন্য হয় ছাতার মাথা কিছুই বুঝে উঠতে পারি না। আজ তেমনই একটা দিন ছিল। সারাদ...